YouTube চ্যানেল জনপ্রিয় করার উপায়

YouTube Part 1.
আজ থেকে YouTubeYouTube Video নিয়ে ধারাবাহিক পর্ব লিখার চেষ্টা করব, YouTube নিয়ে প্রতি সপ্তাহে ২-৩+ টপিক এই ব্লগে আপলোড করা হবে বা লিখব ।

( Youtube Income )

YouTube video থেকে সিনেমার রূপালী পর্দায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছেন অনেকেই , ফেমাস হয়েছে, পরিচিতি বেড়েছে আবার অনেকেই প্রতি মাসে এক থেকে শুরু করে লাখ টাকা ইনকাম করছেন YouTube video থেকে । তাদের সফলতা দেখে বা শুনে অনেকেই YouTube Video তে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য এবং অর্থ উপার্জনের জন্য নানা স্বপ্ন ও আশা-আকাঙ্কা নিয়ে YouTube এ নিজের চ্যানেল খোলে ফেলে কিন্তু কিছু দিন পরই সঠিক গাইডলাইন ও প্রয়োজনীয় YouTube স্পার্ট না হওয়ার অভাবে কোনো সফলতা না পেয়ে হতাস হয়ে YouTube Video বানানো ছেড়ে দেই , তাদের জন্যই আমার আজকের এই নতুন টপিক।
( Youtube Income )


এ পর্বগুলোতে আমি আলোচনা করব কিভাবে আপনি YouTube এ সফল হবেন ও YouTube থেকে অর্থ আয় করবেন সাছন্দ্যে । আমার এই পর্বগুলোতে YouTube এ সফল হওয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একদম A থেকে Z পর্যন্ত টিপস দেয়া থাকবে তাই আপনাকে একটু কষ্ট করে ধৈর্য ধরে এই লম্বা আরটিকেলগুলো পড়তে হবে।চলুন বাড়তি কথা না বলে শুরু করি।


১.  YouTube একাউন্ট তৈরি করা:

( Youtube Income )

প্রথমেই একটি সুন্দর নাম নির্বাচন করুন মনেরাখবেন নামটাই অনেক কিছু। তাই প্রথমেই এমন একটি নাম চিন্তা করুন যা এর আগে কেউ ব্যবহার করেনি সম্পূর্ণ ইউনিক নাম । চ্যনেলের নামটি আপনি যে কোন বিষয়ের উপর নিতে পারেন, সেটা হতে পারে রান্না বিষয়ক, স্বাস্থ্য নিয়ে বা অন্য কোন বিষয়, তবে আপনারা কি ধরণের ভিডিও বানাবেন তার সাথে সম্পৃক্ত থাকলে ভাল হয়। দরকার হলে কিছু সময় নিয়ে ভালভাবে চিন্তা করুন, ভাবুন তারপর ঠিক করুন ইউটিউব চ্যানেলের নাম কি দিবেন।
তবে নামটি অবশ্যই এমন নাম দিবেন যাতে অন্যদের আপনার চ্যানেলের নাম খুব সহজে মনে রাখতে পারেন । ভুল করেও কখনো সংখ্যা দিয়ে বা কোন চিহ্ণ দিয়ে নাম ব্যবহার করবেন না।একটি ইমেইল মানে জিমেইল নিবার্চন করুন আপনার চ্যানেল এর জন্য যা আমরা সবাই জানি ইউটিউবে একাউন্ট খুলতে অবশ্যই একটি জিমেইল লাগবে। তাই প্রথমেই একটি নতুন জিমেইল একাউন্ট খুলে নিতে হবে পুরাতন হলেও চলবে।


২. YouTube কপিরাইট এবং ফেয়ার ইউজেস:

( Youtube income )

আপনি এখন একটি YouTube চ্যানেল তৈরি করে ফেলেছেন সুতরাং আপনি YouTube এর একজন পার্টনার। আর আপনি পার্টনার থাকা অবস্থায় YouTube এ এমন কোন ভিডিও আপলোড করা যাবে না, যাতে কপিরাইট যুক্ত থাকে তাই কপিরাইট বা অন্যের ভিডিও আপলোড এড়িয়ে চলুন।যেমন অন্যের গান এর মিউজিক গান নকল করে আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করলেন বা অন্য কোন টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানের অংশ হুবহু ইডিট করে আপনার ভিডিওতে লাগিয়ে দিলেন ।

( Youtube income )

ইউটিউবের নিজস্ব কিছু গানের ট্রাক থাকে, আপনার ভিডিওতে গানগুলো নির্বাচন করে সহজেই ব্যবহার করতে পারেন বা গুগলে অনেক ওয়েব সাইট আছে যেগুলোতে ফ্রিতে অনেক অডিও এবং Video পাবেন যা সাছন্দ্যে ব্যবহার করতে আপনার কোন কপিরাইটের প্রয়োজন নাই।কখনোই কিছু নকল করবেন না, কারণ ইউটিউব গুগল কোম্পানির, তারা জানে আপনি কোথা থেকে কি ব্যবহার করেছন এবং আপনার Video কতটুকু ইউনিক।

( Youtube income )

এরপরও যদি আপনি আন্যের কোন ভিডিও আপলোড করেন, YouTube কোম্পানি আপনাকে কয়েকবার সাবধান করবে, আপনার চ্যানেলে কপিরাইট ভিডিও আপলোড এর সংখ্যা যদি অতিরিক্ত বেশি হয় বা ভিডিও যদি ইউনিক না হয় তাহলে আপনার একাউন্টটি তারা ব্যন বা বাতিলল করে দিবে। জানার জন্য বলে রাখা ভাল,  ভিডিওটিতে অন্যের আপলোড করা গান বা ভিডিও কত পার্সেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে তার ওপড় ভিত্তি করেই আপনার ভিডিও কতপার্সেন্ট ইউনিক তা হিসাব করা হয়!


৩. YouTube এ এনোটেশন:

( Youtube income )

এনোটেশন হল একটি ভিডিওর ওপর আপনার চ্যনেলের অন্য একটি ভিডিওর লিংক দেয়া। আপনার চলতি একটি ভিডিওটি দেখার সময় যে কোন ভিউয়ার যেন আপনার চ্যনেলের অন্য ভিডিওগুলো সর্ম্পকে সহজেই জানতে পারে, সেজন্য প্রতিটি ভিডিওতে এনোটেশন ব্যবহার করবেন । যখন কেউ আপনার ভিডিওটি দেখবে তখন আপনি যে video লিংকটি এনোটেশন করে দিয়েছেন সে যদি ভিডিও দেখার সময় বা পরে সেই লিংক এ ক্লিক করে নতুন একটি উইন্ডো ওপেন হবে ও সে তখন ওই লিংকের ভিডিওটি দেখতে পাবে। আপনার ভিডিওটি আপলোড করার পর আপনার YouTube ভিডিও ম্যানেজারে গেলেই পাবেন এই সকল অপশনগুলো, অপশনগুলো নিয়ে ভাল ভাবে রিচার্জ করুন ।


৪. সময় বা টাইম:

( Youtube income )

আপনার চ্যানেলের জন্য সময় গুরত্বপূর্ণ। একটি ডাইরিতে নোট করে রাখুন, প্রতিদিন কোন কোন সময়টি বা কয়টায় চ্যনেলে আপনি আপনার ভিডিওগুলো আপলোড করবেন। ভিডিও কখনো রাত ৩ টায় আপলোড করবেন না,কারণ তখন YouTube এ এশিয়ার ভিজিটর কম থাকে । যদি সম্ভব হয় আপনার ভিডিও খুব সকাল সকাল আপলোড করুন। একটি জিনিষ মাথায় রাখবেন তা হল ভিডিও এর বর্ণনাতে সম্ভব হলে ভিডিও বানানোর তারিখটি বসাবেন।
অধিকাংশ দেশে রবিবার সরকারী ছুটি হওয়ায় ইউটিউবে ভিউয়ার বেশি হয়, আপনি যদি চান এই দিনটিকে মাথায় রেখে ভিডিও রবিবারে আপলোড করতে পারেন।


৫. Videoতে ভালো থাম্বনেইল ব্যবহার করুন:

( Youtube income )

চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিওটি ভিউয়ারকে আকর্ষণের জন্য সুন্দর  থাম্বনেইল নির্বাচন করুন। আপনার ভিডিওটির থাম্বনেইল ফটোটি যদি আকর্ষণীয় না হয় তাহলে আপনি দর্শক আকৃষ্ট করতে পারবে না তাই থাম্বনেইল নিয়ে বেসিক কিছু জানা থাকা উচিত, আর যদি ভিউয়ার আকৃষ্ট না হলে আপনার ভিডিও দেখবে কেন!আর ভিডিও না দেখলে চ্যানেলে ভিউয়ার ও সাবস্ক্রাইব বাড়বে না। তাই আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার আর ভিউয়ার বাড়াতে চাইলে ভালো আকর্ষণীয় একটি থাম্বনেইল দিন।

( Youtube income )

বাকি ধাপগুলো নিয়ে পরের পর্বে লিখব, আমি বিশ্বাস করি আপনি যদি এই বেসিক কাজগুলো ধাপে ধাপে সঠিকভাবে করেন, তাহলে খুব তাড়াতাড়িই আপনার চ্যানেলের সফলতা আসবেই। মনে রাখবেন জগৎতের কোন কিছুই শেখার উর্দ্ধে নয়, তাই যত পারেন সময়কে কাজে লাগিয়ে শিখতে থাকুন। আর আনন্দ নিয়ে কাজ করুন YouTube এ সুন্দর সুন্দর ভিডিও উপহার দিন । আমার মনের কথা, যদি আপনি শুধুমাত্র টাকা ইনকাম করার জন্য YouTube আসতে চান YouTube Video বানাতে চান তাহলে এতক্ষন ধরে যা যা পড়লেন তা সব ভুলে যান।

কারণ আপনি যে কাজ করে আনন্দ পাবেন না টাকার জন্য কাজ করতে চাইবেন সে কাজ দিয়ে অন্যকে কিভাবে আনন্দ দিবেন,ভাল YouTuber হতে চাইলে শুরুতেই ইনকামের আশা পরিত্যাগ করুন। ভাল ভিডিও থাকলে সকল ধাপ কাজে লাগাতে পারলে এমনিতেই ইনকাম হবে। আর প্রয়োজন ধৈর্য…ধৈর্য ধরে এগিয়ে যায়।


( Youtube income )

আজকে এ পর্যন্তই, পরের পর্বে আরো গুরুত্ববহ তথ্য ও স্টেপ নিয়ে আলোচনা করব, নিয়মিত সাইট ভিজিট করুন আর পরের পর্ব বা নতুন পোষ্ট হওয়ার সাথে সাথে বিজ্ঞপ্তি পেতে নিচের সাবস্ক্রাইভ অপশনে ইমেল লিখে subscribe করুন।

আজকের দিনে সর্বাধিক পড়া হয়েছে
এ সপ্তাহের সর্বাধিক পঠিত টপিক সমূহ

Popular Posts

image
Most Popular Posts

Popular Posts

Category : বিষয়সমূহ
↓Total Pageviews↓

Total Pageviews