( আলোর রহস্য )
আজকে বিজ্ঞানের একটা মজার ও গুরুত্ববহ বিষয় নিয়ে টপিক লিখব।তো শুরু করা যাকঃ বেশ কিছু সময় যাবত ধরেই বিজ্ঞানীরা চিন্তা করছে টাইম ট্রাভেল নিয়ে । বর্তামান হতে ভবিষ্যৎ কিংবা অতীত দেখার একটি প্রবণতা বিজ্ঞানীদের মাঝে একটি খুবই * রোমানচকর বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।আমাদের সবার মাঝেই ভবিষ্যৎ কিংবা অতীত জানান প্রবল ইচ্ছা রয়েছে । যার ওপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা হয়েছে অনেক হলিউড এবং বলিউড চলচিত্র। আবার অনেকে সময়কে স্থির করে রাখার কথাও চিন্তা করেছে।
( আলোর রহস্য )
আমরা অনেক সময় আমাদের ছায়া দেখে থাকি। তা মূলত সূর্য বা কোনো আলোক উৎসের কাছ থেকে আলো আসলে তা যদি বাধাপ্রাপ্ত হয় তাহলে অন্ধকার এক আকৃতি প্রকাশ করে।তাই ছায়া নামে আমরা ডেকে থাকি। আমরা যদি একটি মজার বিষয় কল্পনা করি – আমরা যখন রাতের বেলা লাইট পোস্টের কাছে হাটি তখন আমরা ছায়া দেখতে পাই। এই ছায়া আমাদের অবস্থানের সাথে পরিবর্তিত হয়। আমরা লাইট পোস্টের যত কাছে যাব ছায়ার আকার তত ছোটো হতে থাকবে আবার আমরা যত দূরে যেতে থাকব তার আকার তত বড় হতে থাকবে।

( আলোর রহস্য )
বর্তমানে যে তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে এই বিষয়গুলি চিন্তা করা হচ্ছে তা হলো ১৯১৬ সালে আইনেস্টাইনের “দি থিওরি অব রিলেটিভিটির “ যেখানে তিনি বলেছেন যদি কোনো বস্তু বা ব্যক্তি যদি আলোর গতি প্রাপ্ত হয় তাহলে তার জন্য ( তার প্রসঙ্গ কাঠামো অনুসারে ) সময় স্থির হবে। সে যখন ঐ গতিতে থাকবে তখন সে মনে করবে তার জন্য সময় স্থির কিন্তু তাকে যারা দেখবে তাদের জন্য সময় স্থির থাকবে না , সময় চলতে থাকবে। মূলত এটিকেই সময় স্থির কল্পনা করা হয়। এইভাবে চললে আমরা ভবিষ্যতকে শুধু দেখতেই না আমরা ভবিষ্যতে যেতেও পারব।কিন্তু আমরা সেখান হতে ফেরত আসতে পারব না । কারণ ফেরত আসার কোনো ধরণের চিন্তা আতত্ত্ব এখনো বিজ্ঞান অর্জন করতে পারেনি বা সমর্থ হয়নি। কিন্তু আমাদের অগোচরেই আমরা আমাদের অতীতকে দেখতে পেরেছি।কিন্তু আমরা হয়ত তা কখোনো লক্ষ্য করেই দেখিনি,আবার অনেকেই বিষয়টিকে নিয়েছে অনেক মজার সাথে। আমরা যখন আয়না কিংবা লুকিং গ্লাস দিয়ে দেখি আমরা কিন্তু সেসময় আমাদের অতীতকে দেখি।
( আলোর রহস্য )
আমরা আমাদের বর্তমানকে কখোনোই আয়নায় দেখিনি। আয়না যেভাবে কাজ করে তা হলো- আমরা পরিষ্কার কাচের সমতল পাত নেই তার যেকোনো এক পাশ্বে তামার পারা লাগাই ,তারপর আলোর উপস্থিতিতে যখন তার সামনে কোনো লক্ষ্যবস্তু থাকে তা আয়নার পিছনে ( ঠিক ততদুরে যতদুরে সামনে লক্ষ্যবস্তু থাকে ) গিয়ে একটি অবাস্তব ও পার্শ্ব পরিবর্তিত বিম্ব তৈরি করে ।তারপর যখন সেই আলো আমাদের চোখে এসে পর তখন আমরা আমাদের বিম্বটিকে দেখতে পাই । মূলত আলোর এই প্রতিফলিত হয়ে আবার ফিরে আসার জন্য কিছু সময় অতিবাহিত হয়ে যায় । যা আমাদের কছিু সময়ের জন্য হলেও আমাদরে অতীতকে নির্দেশ করে। একই কাজ হয় যখন আমরা যেকোনো স্বচ্ছ আলোর প্রতিফলক পৃষ্ঠ দ্বারা আমাদের বিম্ব দেখি।
আমরা অনেক সময় আমাদের ছায়া দেখে থাকি। তা মূলত সূর্য বা কোনো আলোক উৎসের কাছ থেকে আলো আসলে তা যদি বাধাপ্রাপ্ত হয় তাহলে অন্ধকার এক আকৃতি প্রকাশ করে।তাই ছায়া নামে আমরা ডেকে থাকি। আমরা যদি একটি মজার বিষয় কল্পনা করি – আমরা যখন রাতের বেলা লাইট পোস্টের কাছে হাটি তখন আমরা ছায়া দেখতে পাই। এই ছায়া আমাদের অবস্থানের সাথে পরিবর্তিত হয়। আমরা লাইট পোস্টের যত কাছে যাব ছায়ার আকার তত ছোটো হতে থাকবে আবার আমরা যত দূরে যেতে থাকব তার আকার তত বড় হতে থাকবে।
( আলোর রহস্য )
আমরা যদি এখন এই ছায়ার অগ্রভাগের বেগ নির্ণয় করতে চাই বা ত্বরন বের করতে চাই তাহলে আমাদের যা করতে হবে তা হলো ( ব্যক্তির বেগ + ছায়ার অগ্রভাগের দৈঘ্য বৃদ্ধির হার ) কেননা ছায়া আমাদের বেগ নিয়ে এগোবে সাথে নিজের দৈর্ঘও বৃদ্ধি করবে।আমাদের এই ছায়া আমাদের অতীতকে দেখায়। আলোকপৃষ্ঠ হতে আলো আসতে যে সময় নেয় + সেই বাধা পেয়ে ছায়ার আকৃতি তৈরি করতে সময়। আবার আমরা জানি,সূর্য একটি অতি ভারী বস্তু যা স্থান- কালকে বক্র করে রেখেছে যার সেই বক্রতার মাঝে রয়েছে আমাদের পৃথিবী মূলত রয়েছি আমরাও।এই সৌরজগতের কেন্দ্রবিন্দু সূর্য।এটিই আমাদের আলোর একমাত্র উৎস। ফিশন প্রক্রিয়ায় শক্তির ফোটন ( পজিট্রন+ইলেকট্রন ) আকারে আমাদের প্রথিবীতে আসে । সূর্য হতে আমাদের এই পৃথিবীর দূরত্ব হলো ১৫ কোটি কিলোমিটার । একটি ফোটন এর এই দূরত্ব অতিক্রম করতে প্রয়োজন হয় ৮ মিনিট +সেকেন্ড । মজার ব্যাপার হলো,এই ৮ মিনিট + সেকেন্ড সময় প্রয়োজন হয় শুধুমাত্র সূর্যের সর্ববাহির স্তর হতে পৃথিবীতে আসার জন্য ।কসমিক এই নক্ষত্র ( সূর্য ) এর সকল ফোটনের তৈরি হয় এর কেন্দ্রে ব্যাপক তাপ ও চাপের কারণে ফোটনের তৈরি হয়।সূর্যের ব্যাসার্ধ ৬৯৫,৫০৮ কি.মি. ।
( আলোর রহস্য )
কেন্দ্র হতে এই ব্যাসার্ধ অতিক্রম করতে এই ফোটনের প্রয়োজন হয় শত শত বছর । সুতরাং আমরা যে সূর্যর আলো দেখছি তা আমাদের বর্তমান আলো নয় এটি আমাদের থেকে সেই সময় + ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড পুরোনো । সুতরাং তা অতীত। আমরা মূলত অতীতকে আলোকে এখন দেখতে তাই । বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে আমাদের সৌরজগত স্থির নয়।এটি ক্রমবর্ধমান। ধীরে ধীরে এটি বর্ধীত হচ্ছে ( মতান্তরে ,শুধু মাত্র একবার ছোটো হয়ে আবার বড় হচ্ছে ।আবার অনেকে মনে করে এটি বড়-ছোটো হচ্ছে বারবার )। এটি আলো দ্বারা নির্ধারণ করা হচ্ছে। যদি এখন আমরা বলি যে বৃদ্ধি হচ্ছে তার মানে তা অনেক আগেই বর্ধিত হয়েছে বলে গণ্য হবে । আবার আমরা যে তারকা গুলো দেখতে পাই তা আমাদরে থেকে শত শত আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে।
( আলোর রহস্য )
সেখান থেকে আলো আসতে শত শত আলোকবর্ষ প্রয়োজন হয় । তাহলে আমরা যে অবস্থানে কোনো তারাকে দেখি মূলত তা শত শত আলোকবর্ষ পূর্বে ঐ অবস্থানে ছিল। আমরা যে কল্পনা করে থাকি যে ভিন গ্রহের কোনো প্রাণী এর সন্ধান করব । তার জন্য আমরা যে রেডিও সিগন্যাল পাঠাচ্ছি । এমন হতে পারে যে আমরা তাদরে কোনো সন্ধান পেলাম কিন্তু দেখা গেলো যে তা শত শত আলোক বর্ষ ভ্রমণ করে এসেছে তখন হয়ত সেই গ্রহই ধ্বংস হয়ে গেছে । আবার তারাও যদি আমাদের সিগন্যাল পায় হয়ত ততদিনে আমরাই বিলিন হয়ে যাবো।
( আলোর রহস্য )
যদিও এ সবই বর্তমানে কল্পনা ব্যতিত কিছুই নয়। এভাবে আমরা আমাদের অতীতকে দেখতে পাই কিন্তু তার কোনো পরিবর্তন আমরা করতে পারি না। প্রকৃতির কাছে আমাদের হাত বাধা। আমারা অনেক কিছুই করতে পারি না । যেমন প্রকৃতি আমাদের একটি নির্দিষ্ট গতি দিয়েছে যার ওপরে আমরা যেতে পার না তা হলো আলোর গতি , এর ওপরে যেতে পারি না। যদিও আমরা কেউই এই গতি এখোনো অর্জন করত পারিনি। শুধুমাত্র আলোই পেরেছে তার গতিতে চলতে।আলোর গতিতে চললে সময় স্থির হয়ে যায়,আলোর গতির কাছাকাছি চললে সময় খুবই ধীরে চলে,আবার আলোর গতি অতিক্রম করলে অতীতে যাওয়া যায়,যদিও এখন অতীততে যাওয়ার বিষয় বাদ দিলাম).সবচেয়ে মজার বিষয় এই আলোই আমাদের অতীতকে দেখায় আবার এই আলোই পারে আমাদের ভবিষ্যৎ দেখাতে। তাহলে আলোই কি !
পরের পর্বে......
DonBangla.blogspot.com
( আলোর রহস্য ও আলো কি )
( আলোর রহস্য ও আলো কি )
( আলোর রহস্য ও আলো কি )

